রাজমুল হুদা রাজ, ঢাকা : ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে না।
পরীক্ষার তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারের এসএসসি পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর শেষ হবে। সেক্ষেত্রে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ তাদের ক্লাসের বিষয় রয়েছে।
আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, পরীক্ষার ফল ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সারা দেশের তিন হাজার ৬৭৯ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হলেও চলতি বছরের পরীক্ষা আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। এবার মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। এছাড়া ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার ৬৭৯ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এরমধ্যে সাধারণ বোর্ডের ২ হাজার ২০৯টি, মাদ্রাসা বোর্ডের ৭১০টি এবং ভোকেশনালের ৭৬০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা পেছানো কারণ জানিয়ে দীপু মনি বলেন, প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও এ বছর তা সম্ভব হয়নি। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। মহামারি পরিস্থিতির কারণে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে কেবল তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে সব ধরনের কোচিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আগামী ৮ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সমস্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
এর আগে, করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর এ বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দেশের সব স্কুল ও কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে সরকারকে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
Leave a Reply