দৈনিক বাংলার বাণী নিউজ২৪ ডেস্ক : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরিত্যক্ত একটি মর্টারশেল থেকে গোবিন্দগঞ্জে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। বিস্ফোরণের পেছনে কোনো জঙ্গি সংগঠন জড়িত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামের আবুল কাসেম প্রধানের বাড়িতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে তিন জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও তিন জন। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন বাড়ির মালিক বোরহান উদ্দিন (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত কবির মিয়ার ছেলে অহেদুল মিয়া (৪০)।
অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার কয়েক মিনিট আগে তিন থেকে চার জন অপরিচিত ব্যক্তি আবুল কাসেম প্রধানের বাড়িতে আসে। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির মধ্যে শোরগোল ও গুলির শব্দ শোনা যায়।
পরে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণে আবুল কাসেমের একটি ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। এ সময় আহত অবস্থায় পালানোর সময় এলাকাবাসী অপরিচিত একজনকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে।
নিহত বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী হিরা বেগম জানান, বুধবার বিকেলে আমার স্বামী বোরহান বাড়ির অদূরে জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে আসে। কিছুক্ষণ পর একই গ্রামের অহেদুল ইসলাম আমার বাড়িতে আসেন।
এ সময় অহেদুল আমার স্বামীকে বাড়িতে না পেয়ে জমি থেকে তাকে ডেকে এনে একটি পরিত্যক্ত ঘরে প্রবেশ করে। আমি তখন অন্য একটি ঘরে কাজ করছিলাম। কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দ হয়। শব্দ শুনে ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে দেখতে পাই বিস্ফোরণে ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে এবং রুমের পাশে দুইজনের লাশ পড়ে আছে।
Leave a Reply